জাহাঙ্গীরনগর

পরীক্ষা

প দিয়ে আপাতত যে শব্দটি মনে আসছে, তা মাথা থেকে অনেক নিচে। পরীক্ষা, প্রতিষ্ঠান, পাশ, প্রথম এই শব্দগুলো মাথায় আসতে চায় না; সামনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা, যে পরীক্ষাটা সেমিনার হলে পড়েছিল আটকা, সে’টা চলছে টা টা দিতে দিতে, খাতা বিলি হয়েছে মিনিট আগে। তিন বছর সেশন জটে, বসে থেকে হলের সিটে, জমে গেছে অনেক উত্তর- অপেক্ষা তাই প্রশ্নপত্রর। পরীক্ষা চলছে…

ঢাকা

স্টুডেন্ট বাসের অপেক্ষায় কে দাঁড়ায়ে থাকে? তার মুখ থেকে বের হয় ধুয়া, শীতকালের কুয়াশা !
বান্ধবী বলে, ক্যাম্পাস জাবি, যা! এইযে এসে গেলো শাহবাগের মোড়ে জাহাঙ্গীরনগরের সবুজ বাসটা।

নীলক্ষেতের মোড়ে; একটা মশাল মিছিল গেলো দেখা, গণতন্ত্র মরা মরা! এইসব ভাবতে ভাবতে দেখছিলাম- খুব ভালো করে সায়েন্স ল্যাবের মোড় টা; কিছু হতচ্ছাড়া মরছে রাস্তা ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে। আমি বললাম আয় বৃষ্টি ঝেপে কিন্তু নেমে আসে মেপে মেপে অন্ধকার, কয়েকটা ককটেল ফাটার শব্দে শব্দে বন্ধ হলো দোকানের সাটার; মার্কেটের মালিকেরা ফেরি আর হকার; গাউছিয়া ঘুরে চলে গেলো মিছিল নিউ মার্কেটে, ফেলে রেখে রাস্তায় ঘিন ঘিন করা বিচ্ছিরি অন্ধকার, ফটকের বাইরে এই শহরের আইল্যান্ড  আবার আলোয় ঝলমল করে!

জীবনানন্দ

এবার ফের। চুল পরিমান যেতে পারবেনা, কোথায় যাবে? চিরুনিতে করে চুল যায় কতদূরে?  সব কিছুই ফিরে। তোমার কলমের কালি সাত টি তারার তিমির বোধে জাগ্রত। ফিরবে তুমিও, জীবনানন্দ।

এলিয়েন

কোন মহাযান ভিড়ে রাত দুপুরে? অনেক রাতে দেখি আকাশ- গড়ায় ধুলার পরে! এক লাইনের মতো একলা ঘরে, একলা হতে হতে, খুব কাছে কক্ষপথ ঝড় এলো, দেখি  মিথেনে পুড়ে বৃহস্পতি, ডায়মন্ডের বৃষ্টি!

নৈঃশব্দ্য

নৈঃশব্দ্য ঝুলে জানালা ধরে, সন্ধ্যা হলে নৈঃশব্দ্য নেমে আসে পর্দায়, ঘাসের পিঠে, সবুজ মাঠে, পায়ের নিচে রাস্তায়, রথের মেলায় সাভার টু  ধামরাই – আরিচা রোডে, নৈঃশব্দ্যের জ ফলা নেমে আসে পূজার বন্ধে, অনেক শব্দের ভিড়ে, নিঃশ্বব্দে; নিঃশ্বব্দে; নৈঃশব্দ্য নেমে আসে আমাদের হাতে, উঠানে!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ চুকিয়ে বিদায়ের শেষ দিনগুলো এম্নি ছিল!

রচনাকাল ২০০০