১৯৭১ সালের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ সবসময় কোনো না কোনো বিদেশী জাতি দ্বারা শাসিত হয়েছে। হাজার বছর আগে বাংলার রাজা ছিল সেন। তাদের প্রথার নাম কুলীন। কুলিন প্রথায় জন্ম দিয়ে বিচার করা হতো মানুষের অধিকার। ১৭৫৭ সালে যে স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যায় পলাশীর বাগানে তার জাগরণ আবার ঘটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৭১ সালের ২৬সে মার্চ এর সংগ্রামের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ভুখন্ড বাংলাদেশ এর জন্ম হয় – প্রিয় বাংলাদেশ। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাই। তবুও মানুষ স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলন করে। এখনও। তাহলে কি এই স্বাধীনতার অর্থ? কি এর মূলমন্ত্র?
কবি সেই স্বাধীনতা কে তুলনা করেছেন মধ্য রাতে রাস্তা হেঁটে শহীদ মিনারে সূর্য দেখা’র সাথে। তুলনা করেছেন খরস্রোতা নদীর সাথে, যে নদী স্রোতহারা। খুঁজতে গেলে তাকে যায় না ধরা। কারণ সে শুধুই কল্পনা, বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। অপ্রাপ্তির স্বাদ বুকে গভীর অন্তরালে অধরা থাকা।
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এ গানের কবিতায় সুরারোপ করেন হামিদ জামান। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হামিদ জামান ও শরীফ সিদ্দিকী। বাঁশিতে সুর সংযোজন করেছেন সৌগত সরকার। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জাভেদ হোসেন।
হামিদ এবং শরীফ এর কম্পোজিশনে কবিতা, গান ও যন্ত্র সংগীতের সুষম সমন্বয় যেন স্বাধীনতা কেন্দ্রিক মিশ্র রাগ তৈরী করে। স্বাধীনতার অর্থ দেশ কাল বয়স, মানসিক ও সামাজিক অবস্থা ভেদে ভিন্ন অর্থ বহন করে। এই গীতে কবি জীবনের বিভিন্ন স্তরের স্বাধীনতার বিভিন্ন স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। কৈশোর, তারুণ্য, ও যৌবনে স্বাধীনতার এক রূপ, আর তার আরেক রূপ বার্ধক্যে বা তার অনতি পূর্বে স্বাধীনতার অর্থ খুঁজে পাওয়ায়। মত প্রকাশের স্বাধীনতায়।
“স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে মহিকন্টকের ব্যানার কানাডা ও আমেরিকা প্রবাসী আমরা চারজন বের করলাম কবিতা, গান, যন্ত্রসংগীত আর ইতিহাসের অনবদ্য সমন্বয়ঃ স্বাধীনতা। জ্যাজ থেকে দেশী ক্ল্যাসিকাল, সে থেকে করুন সাইকেডেলিক, কয়েকটি জনরা ভ্রমন, আর ৭ স্তরের হারমোনি কোরাস। সাথে আছে ইতিহাস চিত্র। ভিন্নরূপে উদযাপন করুন স্বাধীনতা”- শরীফ সিদ্দিকী