ফুল ফুটে টবে ঝুলে থাকে ১

১. 

জানব কি করে কেমন করে করতে হয় কবির ঘর, আগে কখনও কবির সাথে করি নাই তো বাসর।

জানালার ভিতর অপেক্ষা করছি একশটি বছর, ভাসমান ছিল দেহ  আর আত্মা অশরীরী বাতাসের উপর, শুনেছি  একশ বছর পরো থাকবে কাঠামো শূন্যের উপর, দেখেছি ঘর- শুধু শুধু পুড়ছে সৌর তাপে প্রিয় শহর, পুড়ছে পৃথিবীটা, পুড়ছে জ্ঞানগঞ্জ ধুলার উপর, জেনেছি রাস্তায় শুধু অসমতা দূর করতে লাগে মানবতা, সুশৃঙ্খলতা; আর শারীরিক নৈপুণ্যতা। অসমতা দূর করতে পারে পরমতসহিষ্ণুতা, হাতিয়ার গড়ি চলো মানবতা

 ২. 

দাঁড়ায়ে আছ সূর্য – মূর্খ তুমি, জানালার ঐপারে যদিও, শীতল মাঠে দিগন্ত বিস্তৃত, থাকবে পরে নক্ষত্র; থাকবে পরে কাঠামো একশো বছর পরও; ঘুমন্ত পাখিরা উঠবে জেগে, জানবেনা সময়-অসময়; হোক না গাজর উত্থিত সবজি ক্ষেতে সুশৃঙ্খল, গ্রহে গ্রহে কেন এখনো বিগ্রহ।

কোলাহলে ভেসে আসে আপিস মুখী পাখিদের গুঞ্জন। কাটুক না সময় আজ আদি থেকে অন্ত,

পুড়ুক হৃদয় আজ ধূমকেতুর আগুনে; না হোক হৃদয় ভাজি নিরামিষ দিনে, ক্ষয়রোগ জেগে থাকবে যদি তাই চাও স্থূল নিয়মে, যাও ত্বরা করে কাজে। এভাবেই  মাটি পুড়ে মাটিতে, সূর্যমুখী ফুল ফুটে টবে ঝুলে থাকে।

৩. 

পৃথিবী অনেক বড়; সৌরজগৎ আরো। মাপতে চাওনা? দেখতে চাওনা তুমি দশ দিগন্ত? জানবে প্রতিনিয়ত

পৃথিবী অনেক বড়; সৌরজগৎ আরো।

 ৪. 

যাও ত্বরা করে কাজে; পোড়া মাটির টবে লাল গাদা ফুল ফুটে কিছুক্ষণ পর পরে ঝরে; সুবর্তুল বুক দিও না ছড়িয়ে উত্তপ্ত সিনায়, যাও ত্বরা করে কাজে; চন্দ্রাহত মানুষ যাবে আস্তাকুড়ে মজে!  যে ঝড়ে ডুবে যাবে নদী ক্ষেত মাঠ চর,  পড়েছি আমি সে ঝড়ে; এভাবেই ফুল ফুটে টবে ঝুলে থাকে।

৫.

আমি তো নই কিউপিড কিংবা মায়া কুমারী,  কুমড়া ফুলের বড়া ফুটে কড়াইয়ে, সলতে কালো হাতে অভিসার পুড়ে, পোড়া মাটির বাটি হাতে সু প্রভাতে, কেন অসময়ে যাচ্ছ ফুরায়ে সময় চঞ্চল প্রভাতে;

৬.

সময় অসময় জ্ঞান চলেনা বাসরে, এগুলো বাইরের বিষয় চাইনা দেখতে। চাইনা আমি দেখতে দিগন্ত দশ, চাইনা মাপতে সৌর জগৎ। নিভাতে পারে না এরা আগুনের ঝড়;  পুড়ুক পাপ, পুড়ুক ক্ষয়, আগুনের উল্কা কুমারীর ঋদয়, ত্বরা করে আস এই ঝড়ে, যেও না বাইরে, যায় যারা কাজে, যাক তারা চুলায়, তাদের মতো তুমি যেও না আস্তাকুড়ে। আসো এই ঝড়ে, এই ঘরে, পুনর্বার প্রহর সঙ্গমে, অনর্থক মেঘ টেনে টেনে টেনে এনো না ঘরে। যেমন করে আমি টানি তোমারে। 

 ৭. 

সূর্যবিদ্যা বহিরাগত; নিভাতে পারে নাএই আগুনের ঝড়  কোনো গণিত কিংবা দর্শন। সূর্যমুখী ফুল সেও – ভিক্ষা করে ফেরে কে লোকান্তরে, পোড়া মাটির বাটি হাতে অন্তহীনে, এইরকম দিনে আপতিত হয় চেরি ফুল নরম মাটিতে, আমেরিকান সিকামোর গাছের ছায়া হারায় দুপুরে, সময় যাচ্ছে ফুরিয়ে দেখে  

৮.

সময় অসময় জ্ঞান চলেনা বাসরে, এগুলো বাইরের বিষয় চাইনা দেখতে। পুড়ছে হৃদয় অন্তঃপুরে; ধূমকেতুর আগুনে; এইরকম দিনে আপতিত হয় মেপল এর পাতা উড়ে উঠানে উঠানে মাটির পরে, ওদের নাক টেনে এনোনা ঘরে। যেমন করে আমি টানি তোমারে।

প্রশংসা করা যাবে। কিন্তু পাওয়া যাবে না তাকে। ২০০০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত লেখা কবিতার বাছাইকৃত সংকলন  “ফুল ফুটে টবে ঝুলে থাকে”। 

Copyright © 2023 REDUCE PAPER WASTE | Audioman by Catch Themes