১. ভালোবাসা গাছে নানান রঙের ফুল
ভালোবাসা গাছে, ওরে নানান রঙের ফুল, নানান রঙের ফল,
ভালোবাসা গাছে, ওরে নানান রঙের ফুল, নানান রঙের ফল,
কোনোটা মিষ্টি কোনটা ঝাল, কোনোটা কালো কোনটা লাল,
কোনোটা মিষ্টি কোনটা ঝাল, কোনোটা কালো কোনটা লাল,
কোনোটা র রং, নীল বিষময়।
নীল বিষময়।
মধু বিনে, বিষ ফলে, পানি বিনে বিফলে;
মধু বিনে, বিষ ফলে, পানি বিনে বিফলে;
মানবতা ফল ধরে যেই, মানবতা ফল ধরে যেই ,
প্রেমকল্প তরু সেই।
ভালোবাসা গাছে, নানান রঙের ফুল, নানান রঙের ফল,
কোনোটা মিষ্টি কোনটা ঝাল, কোনোটা কালো কোনটা লাল,
কোনোটা মিষ্টি কোনটা ঝাল, কোনোটা কালো কোনটা লাল,
কোনোটা র রং, নীল বিষময়।
নীল বিষময়।
২. যদি ফিরে চাই তোমায়
যদি ফিরে চাই তোমায় এক সন্ধ্যায়,
এই মনে ভয় অযথাই ঝড়ো হাওয়ায়;
এইসব ভেবে, ভেবে ভেবে, দিন চলে যায়,
কুয়াশাচ্ছন্ন, বিষন্ন সবই যে বৃথা।
যদি ফিরে চাই তোমায় এক সন্ধ্যায়,
এই মনে ভয় অযথাই ঝড়ো হাওয়ায়;
এইসব ভেবে, ভেবে ভেবে, দিন চলে যায়,
কুয়াশাচ্ছন্ন, বিষন্ন সবই যে বৃথা।
যদি চেয়ে থাকি তোমার ওই দুটি চোখে,
আটলান্টিক সাগর, ঢেউয়ে ঢেউয়ে,
সুনামি হয়ে এলে তুমি তাই সমতলে,
ফেরাতে পারিনি আজ নিজেকে।
এইসব ভেবে, ভেবে ভেবে, দিন চলে যায়,
কুয়াশাচ্ছন্ন, বিষন্ন সবই যে বৃথা।
যদি ফিরে চাই তোমায় এক সন্ধ্যায়,
এই মনে ভয়, অযথাই ঝড়ো হাওয়ায়,
এইসব ভেবে, ভেবে ভেবে, দিন চলে যায়,
কুয়াশাচ্ছন্ন, বিষন্ন সবই যে বৃথা।
যদি ফিরে চাই তোমায় এক সন্ধ্যায়,
এই মনে ভয়, অযথাই ঝড়ো হাওয়ায়;
এইসব ভেবে, ভেবে ভেবে, দিন চলে যায়,
কুয়াশাচ্ছন্ন, বিষন্ন সবই যে বৃথা।
৩.
ভিন্ন ভিন্ন জাতি দেখি, কে বানাইলো ভিন্নভাষী;
মুখে বলি ধর্ম মানি, অন্তরালে বিভেদ বাণী;
অবিশ্বাসে পাহাড় ধ্বসে, নদী শুকায়, মেঘ হয়ে।
ভিন্ন ভিন্ন জাতি দেখি, কে বানাইলো ভিন্নভাষী।
কালচারাল ডাইভারসিটি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি;
সহিষ্ণুতা পরমতে, সবার উপর মানুষ সত্যি।
অবিশ্বাসে পাহাড় ধসে, নদী শুকায়, মেঘ হয়ে।
ভিন্ন ভিন্ন জাতি দেখি, কে বানাইলো ভিন্নভাষী।
৪. দাউ দাউ দাবানল নয় আশার আলো দাও, আগুন দিও না বন্ধু অন্ধকার সরাও, দাউ দাউ দাবানল নয় আশার আলো দাও, দুঃখ ধরা ভরা স্রোত আনন্দ মেলাও।
৫. নতুন শব্দ সৃষ্টি করা কবিত্ব; শব্দ দেয় নতুন অর্থ নতুনত্ব।
৬. সৃষ্টির নিয়ম নাই, সৃষ্টি করতে পার যা খুশি তাই, সৃষ্টিধর বলে তাই, নিদর্শনের শেষ নাই।
৭. যখন সৃষ্টি করার সময় ছিল না, তখনই সৃষ্টি হয়েছিল সুন্দর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি খানা। যখন দৃষ্টি ফেলার সময় থাকে না, তখনই যায় দেখা সুন্দর শ্রেষ্ঠ দিন খানা।
৯. চুরি হয়েছে অনেক লাইন, অনেক কবির মত; লিখতে দাও কবিতা গুচ্ছ; তা না হলে কবি হবে কবিতার ঘাতক।
১০. সকল কবি ভালবাসে নিজস্ব ভাষাতে, সঙ্কীর্ণতা নাই আজ কোনও ভাষাতে। বুনন হয় সবার ভাষা বাংলা ভাষার সাথে। ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ প্রভাত ফেরিতে, সকল কবি ভালবাসে নিজস্ব ভাষাতে।
১১. নিজস্বতা টিকে থাকে সকল ভাষাতে। নিজস্বতা থাকে মত পার্থক্যে, অসচ্ছতা নাই কোন নতুন মতে বা পথে; সকল কবিতা ভালবাসে সকল ভাষাতে।
১২. তোমার মুখ নিস্তব্ধ আমার মুখের মত, তোমার কাছে জমা আছে আকাংখা যত, আমার কাধের পর আছে রক্ত রঙ্গীন ক্ষত, ব্রুক্লিন থেকে ব্রঙ্কস পর্যন্ত, ইস্ট রিভার নদীর পাড় বিচিত্র জাতিসংঘ! তোমার মুখ নিস্তব্ধ আমার মুখের মত। হারায়ে জল শুকায় যে নদী, আমি তার মত। তার চেয়েও হয়ত হয়েছ বেশি আহত।
১৪. বিনয় একটা নদীর মত, নাই কোন ক্ষত। আছে শুধু সময় ও স্রোত। ঊংডে য়াহ হো।
১৫. হাডসন নদীর রূপ দেখে মনে পরে, বংশী নদীর কালো পানি সাভারে। জট দেখেছি গাছে, বটের শিকড়ে, সন্ধ্যা রাতে, নদীর কুলে- হাওয়া, নৌকা করে ঘুরতে যাওয়া- আহারে, হে নদী আমি ভালবাসি তোমারে।
১৬. মহিকণ্টক নদী প্রিয় অতি। এই নদী ইতিহাসের দুই মুখী স্রোতে, এলগোনকুইন।
সংস্কৃত যেমন প্রাচীন ভারতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত, ঠিক তেমনি প্রাচীন আমেরিকান আদি ভাষা-আলগোনকুইন ভাষা। নিউ ইয়র্ক আর নিউ জার্সি ‘র সীমান্তে মোহক, মেহিকান, ওনোন্দাগা, ওপিগনার, লেনাপি – বিভিন্ন গোত্রের মানুষ এলগোনকুইন ভাষায় কথা বলতো। তারা হাডসন নদীর তীরে বাস করতো, তারা দেখতো জোয়ারের সময় আটলান্টিকের লবনাত্মক পানি ম্যানহাটনের দক্ষিণ থেকে প্রবাহিত হয়ে উত্তরে অবস্থিত নিউ ইয়র্কের রাজধানী আলবানী’র ট্রয় উপনগর পর্যন্ত যায়। নিউ ইয়র্ক থেকে উত্তরে আডিরন্ডক পর্বতমালায় অবস্থিত টিয়ার্স ওব ক্লাউড নামক লেক থেকে প্রসারিত হয় স্বচ্ছ পানি প্রবাহ। একই নদীতে দুইটি জলধারা- লবনাক্ত ও স্বচ্ছ পানি প্রবাহ! নিউইয়র্ক শহরের হাডসন নদীর আদি নাম মহিকণ্টক। ‘মহিকন্টক’ আমেরিকার এলগোনকুইআন নামক আদিবাসীদের ভাষা-অন্তর্গত শব্দ। এলগোনকুইন ভাষায় মহিকণ্টক অর্থ দুই দিকে প্রবাহিত নদী; নদীর এই দুই ধারা উভয় দিকে প্রবাহিত হয় একই সময়ে।
আমেরিকা দেখার, এবং সংস্কৃতির সাথে যুক্ত থাকার ফসল।