🎸 গুরুর আগমনে হল কাঁপে, বউজানের গানে দর্শক হাঁপায়!

নিউ ইয়র্কের আমাজুরা কনসার্ট হলে গুরু জেমসের গান আছিল অশেষ দারুন!

কিন্তু এই প্রোগ্রাম বন্ধ করার ধমক দিছে স্পনসরর বউ!

কারনে কী জানো?

গুরু জেমস স্টেজে ওঠার আগেই বউজান গান গাইতে উঠছিল।

আর ওগোর গান শুনে দর্শক এক্কেবারে অস্থির হইয়া গেল—

লোকজন ভাবতেছিল,

“এইডা কিতা? গুরু জেমস কই গেল?”

লোকজন সোজা চেঁচাইতেছিল—

“গুরু! গুরু! গুরু দিয়া শুরু!”

আর গুরু জেমস যখন শেষে উঠল স্টেজে—

তখন পুরা হল উল্টাইয়া পড়ল,

তালি, চিৎকার, স্লোগানে ঝড় বইয়া গেল!

এলভিস প্রিসলি! এই মানুষডারে চিনে না, এমন মানুষ দুনিয়াত আছে রে? রক অ্যান্ড রোল-এর জনমদাতা। নাম, যশ, টাকার শিরা চুইয়া গেইছিল উপরে গিয়া।

৩১ বছরে তার নামে বাজারে ৭১টা ব্র্যান্ড আছিল। দুনিয়ার প্রথম শিল্পী, যিনি নিজের প্রাইভেট জেটে ঘুরাফিরা করতেন। যেই লিমুজিনে চলতেন, তার ভেতর ডায়মন্ডের পাত লাগানো আছিল!

তার রেকর্ড বিক্রি হইছে ৫০ কোটি কপি! কনসার্টে গিয়া যদি জ্যাকেটটা ছুঁড়ে দিতেন ভক্তদের দিকে, অমনি লোকে ঝাঁপাইত— কে আগে পাইবো!

একদিন সকাল বেলা এলভিস প্রিসলি গিটারে টিউন করতেছিলেন নিজের ঘরে। হঠাৎ সেক্রেটারি জিগাইলেন—

“স্যার, এত নাম, এত খ্যাতি—জীবনটা কেমন লাগে এখন?”

প্রিসলি একটু থইমা গিটার বন্ধ কইরা চুপচাপ কইলেন—

“একা। খুবই একা। রোদে পাখা মেলা চিল যেমন একা উড়ে, আমি তেমন একা।”

যার কনসার্টের টিকিট পেতে মানুষ বছর ধরে লাইন দেয়,

যার একটুকরা স্পর্শে ভক্তরা অজ্ঞান হইয়া যায়,

সেই মানুষটাই কইতেছেন—

“আমি একা। খুব একা।”

এই একাকিত্বের দুঃখেই হয়তো একসময় তিনি মাদক ধরলেন—কে জানে!

৪২ বছর বয়সে তিনি মারা গেলেন—কারণ? একাকিত্ব, অতিরিক্ত মাদক, আর ভুল চিকিৎসা।

লক্ষ ডলারের বিছানায় মাইকেল জ্যাকসনও ঘুমাইতে পারতেন না।

প্রতিদিন ১০টা ঘুমের ওষুধ খাইতেন, তবু দুই ঘণ্টা ঘুম হইত না।

অগণিত ফ্যান থাকা সত্ত্বেও তিনি মৃত্যুর কাছে যেন নিজেরে সঁপে দিছেন।

রবিন উইলিয়ামস—অস্কারজয়ী অভিনেতা, যিনি মানুষকে হাসাতেন, অনুপ্রেরণা দিতেন—

শেষে তিনিও একা, হার মানলেন নিঃশব্দে।

ডেল কার্নেগি—সারা জীবন মানুষকে শেখালেন কেমনে জয়ী হতে হয়, কিন্তু নিজের জীবন যুদ্ধে তিনি হারলেন।

নেপোলিয়ান বোনাপার্ট—পৃথিবীর বড় বড় মানুষদের একজন—

তিনি নিজেই বলছেন:

“পুরা দুনিয়ারে দখলে রাখার ক্ষমতা আমার ছিল, কিন্তু জীবনে সাত দিনও শান্তিতে কাটাতে পারি নাই।”

ক্ষমতা বাড়ছে, খ্যাতি বাড়ছে, শুধু শান্তি বাড়ে নাই।

এমন কত জনের নাম বলা যায়!

ভালো টাকা দামী বিছানা দেয়—

কিন্তু ঘুম দেয় না।

স্বাস্থ্যবিমা দেয়—

কিন্তু সুস্বাস্থ্য দেয় না।

ভালো খাবার দেয়—

কিন্তু হজমশক্তি দেয় না।

তাদের কি কিছুর অভাব আছিল?

দামী বাড়ি আছিল, বিলাসী গাড়ি, নামডাক সব ছিল।

কিন্তু শান্তি আছিল না।

শান্তি কই থেইকা আসে জানো?

মানুষ যখন শুধু হাতে কাম করে, ওটা হয় লেবার।

হাত আর মাথা একসাথে লাগলে হয় স্কিল।

আর হাত, মাথা, আর মন—এই তিনটারে একসাথে দিলে হয় আর্ট।

এই আর্টের সাথে যখন আধ্যাত্মিকতা মিশে যায়—তখনই আসে আসল শান্তি।

এই স্পিরিচুয়ালিটিই মানুষরে তার সৃষ্টিকর্তার কাছে নিয়ে যায়।

আর তখনই বুঝা যায়—

জীবনে শুধু “আরও চাই” বলতে বলতে সব পাইলেও,

বাঁচার ইচ্ছাটাই আর থাকে না।

এইজন্যই—

একজন রিকশাওয়ালা, যিনি দিনে মাত্র ৩০০ টাকা উপার্জন করেন,

তিনি রাতে শান্তিতে ঘুমান।

আর ধনী লোকেরা—ব্যাংকে ৩০০ কোটি টাকার মালিক হয়েও,

রাতে ঠিকমতো চোখ বন্ধ করতে পারেন না…