Prokriti, Shyama, Chitrangoda, and Rabindranath

এখানে একটি ১০ মিনিটের মঞ্চনাটকের স্ক্রিপ্ট এবং ভূমিকা ও পাঠচক্রের সহজ নোট দেওয়া হলো। এতে রবীন্দ্রনাথের আত্মসমালোচনার দিক (Shesher Kobita-তে) এবং irony বা ব্যঙ্গাত্মক আত্ম-বিরোধিতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

নাটকের নাম: “শ্যামা”

সময়কাল: ১০ মিনিট

ভাষা: দ্বিভাষিক (বাংলা ও ইংরেজি)

চরিত্র:

প্রকৃতি, শ্যামা, ও চিত্রাঙ্গদা (পুনর্জন্মের পর এক নতুন নারীর রূপে, নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী) রবীন্দ্রনাথ (প্রেতাত্মা/চিন্তার রূপে) উত্তীয় (Shyama-র ভালোবাসায় পড়ে যাওয়া এক পুরুষের আত্মা) আরজন (New York-এ বসবাসরত)

ভূমিকা (Narrator Speech – 1 minute)

Narrator (in spotlight):

“এই মঞ্চে আজ আমরা ডেকে এনেছি রবীন্দ্রনাথ ও তার সৃষ্টি বিশেষ চরিত্র প্রকৃতি, চিত্রাঙ্গদা, শ্যামা। শ্যামা নিয়েছে একজনের জীবন, অরেকজনের ভালোবাসা পেতে। প্রকৃতি ও চিত্রাঙ্গদা, যিনি নিজের পরিচয় ভুলে গিয়েছিলেন শুধুই এক পুরুষ অর্জুনকে পেতে। আর সেই কবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি একদিন এই সব চরিত্র বানিয়ে বলেছিলেন—নারী দুর্বল হয়। কে দোষী? চরিত্র, না তাদের স্রষ্টা?”

নাট্যাংশ (Script: 9 minutes)

দৃশ্য ১ – নিউ ইয়র্ক সিটির একটি পার্ক

(শ্যামা এক বেঞ্চে বসে, চিন্তিত। পাশের বেঞ্চে রবীন্দ্রনাথের আত্মা ধীরে ধীরে আবির্ভূত হয়।)

Shyama (thinking aloud):

আমি কি অন্যায় করেছিলাম? উত্তীয় আমায় ভালোবেসেছিল। আমি তার আত্মাকে নিজের মধ্যে টেনে নিয়েছিলাম… যেন আমি তার প্রেম দিয়ে আরজনকে পেতে পারি। কিন্তু… আরজন তো আমাকে নিজের রূপেই ভালোবাসলো না।

Rabindranath:

শ্যামা, তুমি এখনো আমার সৃষ্টি… আমি নিজেই তো তোমার ভিতর দুর্বলতা ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম।

Shyama:

তুমি? তুমি তো বলেছিলে, নারীরা প্রেমের জন্য সব কিছু করতে পারে!

Rabindranath (sighs):

“শেষের কবিতা”-তে আমি অমিত চরিত্রের মাধ্যমে বলে ছিলাম, দুর্বল এর আধিপত্য ভয়ঙ্কর — আজও অমিত এর মতো অনেকে তাই ভাবে। চরিত্রের দুর্বলতা কে অনেকে না বুঝে অনুসরণ করে। আমার চরিত্ররা শুধু ছায়া। বাস্তবের নারীরা তো তাদের থেকেও অনেক বড়ো।

Shyama (angrily):

তাহলে কেন তুমি আমাকে শক্তি রূপে সাজিয়ে, শক্তি কেড়ে নিলে?

Rabindranath:

কারণ তখনও আমি শিখছিলাম। আমার চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে, আমি নিজের ভুলগুলোকেও প্রকাশ করতাম। এটাই irony, শ্যামা! আমি নিজেকেই অস্বীকার করেছি শেষের কবিতায়।

দৃশ্য ২ – উত্তিয় আত্মার আবির্ভাব (dim blue light)

Uttio(appears, ghostly):

Shyama… you used my soul. I gave you all my love. And you used it… to impress another man?

Shyama (ashamed):

I thought love was a means. I didn’t know… you were the end.

Uttio:

You could’ve loved yourself first.

Rabindranath:

And that’s what I should have written. That the woman doesn’t need to change. That love starts when the self is accepted.

দৃশ্য ৩ – আরজনের উপস্থিতি (New Yorker, confused)

Arjon:

Chitrangoda? Why did you hide behind someone else’s soul? I might have loved the warrior in you, not the illusion.

Chitrangoda:

Because I was made to believe… beauty wins love. Not bravery.

Rabindranath:

But now, I leave that choice to you. You are no longer my creation. You are your own author.

শেষ সংলাপ – শ্যামার আত্মঘোষণা

(turns to audience):

আমি প্রকৃতি, আমি শ্যামা, আমি চিত্রাঙ্গদা। আমি এখন একজন- যার ভিতরে পূর্ব আর বর্তমান মিলেমিশে তৈরি করেছে নতুন ভবিষ্যৎ।

শেষ কণ্ঠ (Narrator Closes):

“রবীন্দ্রনাথ নিজের ভুল স্বীকার করে শিখেছিলেন। আমাদেরও উচিত—নারীকে রচনার বিষয় না বানিয়ে, তাকে নিজের গল্প লিখতে দেওয়া। আজ শ্যামার পুনর্জন্ম যেন এক নতুন বার্তা—নতুন শতাব্দীর জন্য।”

সহজ পাঠচক্রের জন্য আলোচনা নোট (শিক্ষার্থীদের জন্য):

মূল বার্তা:

শ্যামা ও চিত্রাঙ্গদা চরিত্রের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ নারীকে দুর্বল করে দেখিয়েছিলেন—এই আত্মসমালোচনাই নাটকের মূল বিষয়। নাটকে নারী চরিত্র নিজের ভিন্নতা, শক্তি, ও আত্মপ্রেমকে উপলব্ধি করে। এটি একটি irony (বিরোধিতা), যেখানে স্রষ্টা নিজেই নিজের ভুল তুলে ধরেন। পুনর্জন্ম মানে পুরাতন ধারণাকে ছাড়িয়ে নতুন সত্তা গড়ে তোলা।

Copyright © 2025 Note | Audioman by Catch Themes