শিশুদের উপযোগী করা কাহিনীর বাংলা অনুবাদ—
ওয়াইয়া ও স্মৃতির আগুন
একটি চেরোকি-প্রেরিত রূপকথা
পর্দা ১: অতীতের সেই সময়
[সুর: নদীর কলকল, বাঁশির আওয়াজ]
অনেক, অনেক বছর আগে, টেনেসির সবুজ পাহাড় আর নদীগুলো ছিল জীবন্ত। গাছেরা বাতাসে নাচতো, নদীগুলো হাসতো, আর গ্রামের মাঝখানে একটি জ্বলন্ত আগুন ছিল—যার নাম ছিল স্মৃতির আগুন।
এটি ছিল সত্য, ভারসাম্য ও গল্পের প্রতীক। শিশু-বৃদ্ধ সবাই এই আগুনের পাশে বসে গল্প শোনতো, গান গাইতো, ইতিহাস মনে রাখতো।
পর্দা ২: ছায়া সাপের আগমন
কিন্তু সেই ভারসাম্য সবার ভালো লাগেনি। অন্ধকারের কোণে ছিল এক সাপ—ছায়া সাপ।
সে বলল,
“ওরা এত কথা মনে রাখে কেন? ভুলে যাক সব, আমিই হই রাজা!”
সে একরাতে চুপিচুপি এসে স্মৃতির আগুন চুরি করে ফেলল।
পর্দা ৩: অন্ধকার নেমে এলো
আগুন ছাড়াই পৃথিবী বদলে গেল। নদী থেমে গেল, গাছেরা চুপ করে গেল, মানুষ ভুলে গেল গান, গল্প আর ভালোবাসা।
একটি ছোট্ট মেয়ে, ওয়াইয়া, এই পরিবর্তন লক্ষ করল।
ওয়াইয়া: “দাদি, সবাই এত রাগান্বিত কেন?”
দাদি: “স্মৃতির আগুন হারিয়ে গেছে, মা। কিন্তু একজন সাহসী হৃদয় তা ফিরিয়ে আনতে পারে…”
পর্দা ৪: বজ্র পাখিদের ডাক
তিনটি বিশাল, দীপ্তিমান পাখি—বজ্র পাখি—আকাশ থেকে নামল।
তারা বলল,
“ওয়াইয়া, তুমিই স্মৃতি রক্ষা করতে পারো।”
ওয়াইয়া মাথা নাড়ল।
পর্দা ৫: যাত্রা শুরু
ওয়াইয়া পাহাড়, বন আর নদী পেরিয়ে চলল। সে গাছের ফিসফিস, হরিণের ছন্দ ও বাতাসের সুর শুনল। তার মনে পড়তে লাগল পুরনো গান।
পর্দা ৬: ভুলে যাওয়ার গুহা
অবশেষে, সে পৌঁছালো এক অন্ধকার গুহায়। সেখানে ছিল ছায়া সাপ।
সাপ ফিসফিস করে বলল,
“আগুন চাইলে অতীত ভুলে যাও। আমার সঙ্গে এসো, সহজ হবে।”
ওয়াইয়া চোখ বন্ধ করে তার দাদির শেখানো সেই গান গাইতে লাগল।
সেই সুরে গুহা কাঁপতে লাগল, আগুন জ্বলে উঠল, আর সাপটি ছোট হয়ে গেল… হারিয়ে গেল।
পর্দা ৭: আগুন ফিরে এল
ওয়াইয়া সেই আগুন নিয়ে ফিরে এলো গ্রামে। বজ্র পাখিরা তার পাশে উড়ছিল।
নদী আবার হাসতে লাগল। গাছেরা আবার গান গাইতে লাগল। মানুষ আবার গল্প বলতে শুরু করল।
শেষ পর্দা
যখন টেনেসির আকাশে বজ্রধ্বনি হয়, তখন কান পাতো…
হয়তো তুমি শুনবে ওয়াইয়ার গান, আর অনুভব করবে সেই স্মৃতির আগুন, তোমার মধ্যেও জ্বলছে।
বার্তা:
“প্রতিটি জমি তার গল্প ধারণ করে। মনে রাখো, বলো, আর রক্ষা করো।”