🔍 সোশ্যাল মিডিয়ার আয়নায়

(টোন: মিশ্র স্বর—আত্মবিশ্বাস, বিস্ময়, কষ্ট, ঈর্ষা)

[নিঃশব্দ ভূমিকা — ৩ সেকেন্ড]

(গভীর স্বর, গর্ব নিয়ে)

আমি লিখেছি আলো দিয়ে, সুর দিয়ে, ভাষার দীপ্ত জ্যোতিষ্কে…

আমার ছায়া পড়েছে সভ্যতার শরীরে—

শিল্পে, চেতনায়… ইতিহাসে।

(স্বর নিচু করে, একটু বাঁকা হেসে)

তবু কোথা হতে…

এক নীরব পুরুষ…

(হঠাৎ থেমে হালকা থেমে)

…বসে থাকে ধানের খেতে, পথের ধারে,

চোখে তার মেঘ… কথায় তার কুয়াশা…

(টেনে, ধীরে উচ্চারণ)

সে কেবল হেঁটে চলে নিঃশব্দে,

অথচ আমি শুনি সেই শব্দ!

(অবজ্ঞা আর আশ্চর্য মিশিয়ে)

জীবনের গদ্য ও পদ্য মিশিয়ে…

সে যেন আধেক-জন্মা কবি!

(আত্মবিশ্বাসের সুরে, জোর দিয়ে)

আমি দিগ্বিজয়ী নক্ষত্র!

সে? মৃত্তিকার নীচে ঝরা পালকের কাব্য …

(অবসাদ ও গোপন কষ্টে, ধীরে ধীরে)

তবু… লোকেরা বলে—

“তার কবিতায় আছে শূন্যতার রস…

যেখানে রবীন্দ্রনাথ পৌঁছাননি।”

(একটা দীর্ঘ থেমে যাওয়া — ৪ সেকেন্ড)

(স্বগতোক্তি, নিজের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া)

আমি কি তবে আলোতেই হারালাম…

সেই ঘাসে পড়ে থাকা ছায়া কে?

(কটাক্ষ ও হতাশা মিশ্রিত স্বরে)

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে …

সেখানে সে নেই…

তবু সবাই তাকে টানে!

(বিদ্রূপ নিয়ে)

আমি পোস্ট দিই: “সবার উপর মানুষ সত্য”—

তারা পড়ে: “ধানসিড়ি নদী তীরে আবার আসিব ফিরে।”

(টেনে টেনে উচ্চারণ)

তার ব্যক্তিত্ব তো প্রকাশ করে না…

সে তো পারফর্মেন্স -ও করে না…

(হালকা থেমে — তারপর স্বর বাড়িয়ে)

তবু তার শব্দ—আজ… ভাইরাল !

(ধীরে ধীরে থেমে যাওয়া স্বরে)

তাহলে কবিতা কি আর দীপ্তির ব্যাপার নয়?

(আক্ষেপ ও আত্মসমালোচনার ছোঁয়া)

এখন কবিতা যেন শুধুই আবৃত্তি, স্ট্যাটাস, পুনরাবৃত্তি;

যেখানে আমি—অতীত! প্রায়…

(নিচু গলায়, করুণ স্বীকারোক্তি)

তবু বলি… ঈর্ষা নয়, ঈর্ষাকে আমি ঘৃণা করি,

এ কেবল বিস্ময়ের অন্তহীন রাত, জ্বালায় ব্যথার প্রদীপ!

(শেষ পংক্তিতে আবেগ ও সম্মানের ভার)

যে পথ আমি দেখিয়ে দিলাম,

তার ছায়ায় বসে কেউ কেউ নির্মাণ করল ভবিষ্যৎ…

(শেষ লাইন: গম্ভীর ও শান্ত স্বরে, একটু থেমে)

কিন্তু হে নীরব কবি —

তুমি কি জানো?

নিজের তৈরি করা কাব্যিক সাম্রাজ্যে,

গ্রাফিক্স সহ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে,

সবকিছুই বলে যায় নিঃশব্দে,

সেও তো এক প্রজেকশনের খেলা?

বিতর্কে ভেসে, অন্যের ভুলে খুঁজ নিজেকে,

তুমি কী বলো, কীভাবে বলো,

কাকে ট্যাগ কর, কাকে দাও দোল,

কমেন্ট বক্সে নীরবে রেখে যায় সত্যের খোল।

চেষ্টা যত করো নিজেকে সাজাতে,

ভাষা ফাঁস করে অবচেতন কথাটে।

শেষে থেকে যায় একটা সত্য, ঝকঝকে মুখোশ,

ভাষার ভাজে ফাঁস হয়ে যায় মাতৃভাষার প্রতিচ্ছবি

🎧 [শেষে আবছা একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবহ তৈরি করা যেতে পারে — যেমন “আজি ঝরঝর মুখর বাদলদিনে…” পিয়ানোর সুরে বাজানো]

কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈলীতে করা হয়েছে, কিন্তু একটি ব্যঙ্গাত্মক মোড়ে—যেখানে বোঝা যায়, তিনি গোপনে ঈর্ষান্বিত জীবনানন্দ দাশের ভবিষ্যৎ খ্যাতি নিয়ে।

Note: Below is the video interview script version complete with speaker cues, suggested visuals, and formatted for a recorded or staged video.

🎥 Interview Script: “Personality Leaks: What Social Media Reveals About Us”

Language: Bengali (with English title tag)

Style: Studio/Podcast/YouTube Conversation

[Opening Shot: Soft background music, title overlay]

🎬 Title Card:

“Personality Leaks: What Social Media Reveals About Us”

A conversation on digital behavior and mental health

[Cut to Host in a calm, cozy studio setting]

Host:

(looking at camera, warm tone)

আমরা যখন কারো সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল দেখি—তখন কি আমরা সেই মানুষটিকে চিনতে পারি? আজ আমরা জানব, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার আমাদের মানসিক গঠন ও ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কত কিছু বলে দেয়।

আমার সঙ্গে আছেন একজন মনোবিজ্ঞানী ও বিহেভিয়ারাল এনালিস্ট, ডঃ রেহান আনোয়ার।

Welcome, Dr. Rehan.

[Cut to Expert smiling, nodding]

Expert:

ধন্যবাদ। ভালো লাগছে এখানে থাকতে।

Host:

ডঃ রেহান, ধরুন আমি কারো সঙ্গে কখনও দেখা করিনি। কিন্তু সে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা যা পোস্ট করে, তাতে কি আমি তার সম্পর্কে একটা ধারণা করতে পারি?

Expert:

একদম পারেন। আমরা সবাই জানি—সোশ্যাল মিডিয়া মানেই নিজেকে সাজিয়ে তোলা। কিন্তু মানুষ যতই best version দেখাক, তার ভাষা, কমেন্ট স্টাইল, কাদের সাথে কেমন করে ইন্টার‍্যাক্ট করে—এইসব মিলিয়ে তার ভেতরের চিন্তা ও personality বেরিয়ে আসে।

[Graphic overlay: “Behavioral Leakage = Unintentional expression of inner self”]

Host:

এক কথায়, আমরা যা পোস্ট করি, তা-ই আমাদের বলে দেয়?

Expert:

হ্যাঁ, এটা একধরনের behavioral leakage। মানে, অবচেতনভাবে আমরা যা ভাবছি—তা ভাষা বা আচরণের মধ্যে দিয়ে ফাঁস হয়ে যায়।

Host:

আপনি বলছিলেন কিছু প্যাটার্ন বা উদাহরণ আছে?

Expert:

হ্যাঁ। যেমন—যদি কেউ সবসময় অন্যের ভুল খোঁজে, ছোট কিছু নিয়েও সমালোচনা করে, নেতিবাচক কমেন্টে ব্যস্ত থাকে—তবে সম্ভবত তার নিজের জীবনে অস্বস্তি, অপূর্ণতা বা হীনমন্যতা কাজ করছে।

[Visual: Floating text — “Projection Mechanism: Blaming others to mask own discomfort”]

আমরা একে বলি projection mechanism। নিজের কষ্টকে কমানোর জন্য অন্যের দোষ খুঁজে বেড়ানো।

Host:

আর একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করি—অনেকেই একই ধরনের পোস্ট বারবার করে। এর মানে কি?

Expert:

এটাকে বলে repetitive behavior pattern। যেমন—নিজের প্রশংসা জোর করে দেখানো, বিতর্ক খোঁজা, সামান্য কথায় প্রতিক্রিয়া দেখানো। এটা আর শুধু মুড নয়, এটা তার personality-এর একটা অংশ।

[Visual: Example Post Mockup – “Why do people always try to bring me down?”]

এধরনের মানুষের মধ্যে low emotional intelligence বা external validation dependency থাকে।

Host:

আর যারা আত্মবিশ্বাসী?

Expert:

তাদের মধ্যে দেখা যায় high emotional intelligence ও self-regulation।

তারা নিজেদের value ধরে রাখে, respectful ভাষা ব্যবহার করে। এটাই তাদের আত্মবিশ্বাস ও social maturity-এর প্রমাণ।

[Visual: Calm profile with kind posts and thoughtful comments]

Host:

দারুণ কথাগুলো জানলাম। এক লাইনে বললে, সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের কতটা প্রকাশ করে?

Expert:

খুব সংক্ষেপে বললে—

“On social media, your words, tone, and behavior silently speak volumes about your inner world. In the end, personality always leaks through performance.”