অনেক কাজই AI ইতিমধ্যেই করছে—ডেটা অ্যানালাইসিস, লেখালিখি, ছবি-ভিডিও তৈরি, গাড়ি চালানো পর্যন্ত। ভবিষ্যতে আরও কাজ স্বয়ংক্রিয় হয়ে যাবে। তবে সবকিছু একেবারে মানুষের বাইরে চলে যাবে না। শিল্প, আবেগ, নৈতিক সিদ্ধান্ত—এসব জায়গায় মানুষের ভূমিকা রয়ে যাবে।
বাচ্চা জন্ম দেওয়া কি সম্ভব?
AI নিজে জীববৈজ্ঞানিক দেহ নয়, তাই নিজে থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে না। তবে বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই কৃত্রিম গর্ভ (artificial womb), টেস্ট-টিউব বেবি (IVF), এমনকি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করছেন। এগুলো মানুষের নির্দেশনা ও প্রযুক্তি দিয়ে সম্ভব, AI কেবল সহায়ক হতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো মানুষ ছাড়াই ল্যাবের ভেতর পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ বেড়ে ওঠার প্রযুক্তি আসতে পারে। সেটি মূলত বায়োটেকনোলজি + AI এর সমন্বয় হবে।
সীমা কোথায়?
AI কখনোই “মানুষ” হবে না—এটা মানুষের মতো অনুভূতি বা জৈবিক অভিজ্ঞতা পাবে না। তবে মানুষের সন্তান জন্মের প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ভূমিকা দিন দিন বাড়বে।
👉 তাই বলা যায়: AI নিজে বাচ্চা পয়দা করতে পারবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রক্রিয়াকে বদলে দিতে পারে।
🎬 দৃশ্য: “শেষ ডেলিভারি”
লোকেশন: ভবিষ্যতের নিউ ইয়র্ক, ২০৫৫ সাল।
পরিবেশ: কাঁচের দেয়ালে ঘেরা বিশাল এক বায়োটেক ল্যাব। সারি সারি কৃত্রিম গর্ভ (artificial womb) ভাসছে, প্রতিটিতে ভ্রূণ বেড়ে উঠছে। AI রোবটগুলো নীরবে কাজ করছে।
দৃশ্য ১ (0:00 – 3:00)
ক্যামেরা ধীরে ধীরে ল্যাবের ভেতর প্রবেশ করে। এক শিশু-আকৃতির হোলোগ্রাম ভেসে ওঠে—AI নার্স “এভা”। এভা বলে: “আজকের ডেলিভারি রেডি। মানব ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্ত। কোনো মা নেই, কোনো যন্ত্রণা নেই—শুধু অ্যালগরিদম আর যত্ন।”
দৃশ্য ২ (3:00 – 8:00)
দুই বিজ্ঞানী কাচের জানালার বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। একজন অভিবাসী মা (২০০৬ সালে DV lottery নিয়ে আসা সেই চরিত্রের বয়স্ক রূপ) তাকিয়ে আছে। তিনি ফিসফিস করে বলেন: “আমি যখন এ দেশে এলাম, মেয়েকে কোলে নিয়ে আসতে হয়েছিল… আর আজ ওর মেয়ে জন্ম দিচ্ছে এক কৃত্রিম গর্ভ থেকে।” তার চোখে বিস্ময়, আবার ভয়ের ছায়া।
দৃশ্য ৩ (8:00 – 12:00)
এভা শিশুকে কৃত্রিম গর্ভ থেকে বের করে আনে। শিশুটি প্রথম শ্বাস নেয়। রোবট হাত ধীরে ধীরে মায়ের হাতে দেয়। AI এভা বলে: “মানুষ এখনো জন্ম দেয়, শুধু পথটা বদলেছে।” মা শিশুকে বুকের কাছে টেনে নেয়। তার চোখে জল। বিজ্ঞানী অন্যদিকে নোট নিচ্ছে: “Generation 1.0 – Human Without Womb.”
দৃশ্য ৪ (12:00 – 15:00)
মৃদু সঙ্গীত বাজছে। কাচের ওপারে সারি সারি কৃত্রিম গর্ভের ভেতর আলো ঝলমল করছে। ভয়েসওভার (মায়ের কণ্ঠ): “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো আমাদের সব কাজ নিয়ে নেবে। কিন্তু সন্তানের প্রথম কান্না, মায়ের চোখের জল—এটা কোনো অ্যালগরিদমের কাজ নয়। এটা এখনো মানুষ।” ক্যামেরা জুম আউট করে, ল্যাব পুরো শহরের আলোয় মিলিয়ে যায়।
ফেড আউট।