শিক্ষক ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে, স্মার্ট টিভিতে ব্লগটি দেখিয়ে তাঁর নিজের জীবনের গল্প শেয়ার করতে থাকেন। হঠাৎ তাঁর চোখে এক ঝিলিক দেখা যায়, একটি দৃঢ় সংকল্পের ঝলক, যখন তিনি বললেন, “আমার চাচা কানসাসে থাকতেন, আমেরিকায়। তিনি আমাকে আমেরিকার স্কুলগুলোর গল্প বলতেন। গল্পগুলো ছিল অসাধারণ। আমেরিকার স্কুলগুলোতে শেখাটা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রতিটি ক্লাসরুমে শিক্ষার জন্য নানা মাধ্যম ছিল—বিজ্ঞান, শিল্প, প্রযুক্তি, এবং আরও কত কী!”
শিক্ষকের কথায় মুগ্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে একদৃষ্টিতে শুনতে থাকে। তিনি বলেন, “চাচার সেই গল্পগুলো আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল। আমি তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম, যদি আমাদের স্কুলেও এমন কিছু থাকত! সেই chalkboard একদিন যেন বদলে স্মার্ট-বোর্ড হয়ে যায়, যেখানে শুধু লেখার পরিবর্তে আমরা আরও অনেক কিছু দেখতে পারি, শিখতে পারি। আমার চাওয়া ছিল সেই chalkboard আমাদের জন্য এমন একটি দরজা হয়ে উঠুক যা আমাদের এই বিশাল পৃথিবীকে জানতে সাহায্য করবে।”
তিনি বোঝাতে থাকেন, “চাচার গল্পের মতো আমেরিকার স্কুলগুলোতে পড়াশোনাটা কেবল ক্লাসরুমের চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রতিটি শিশু কল্পনা করতে শিখতো, নতুন কিছু শেখার জন্য উৎসাহী হতো। আর আমি তখন থেকেই এমন একটি স্কুলের স্বপ্ন দেখতাম যেখানে শেখাটা শুধু বইয়ের মধ্যে না থেকে, আরও বড় পরিসরে, বাস্তবের সাথে সংযুক্ত হয়ে উঠবে।”
তার কথাগুলোতে শিক্ষার্থীরা নতুন উদ্যমে উজ্জীবিত হয়। তারা যেন শিক্ষকের চোখে তার ছোটবেলার সেই স্বপ্ন দেখতে পায়। “আমরা সবাই এখন যে স্মার্ট-বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, এটিই সেই পথ, যা আমাদের শেখার দিগন্তকে আরও বিস্তৃত করে দিচ্ছে। chalkboard-এর পিছনে যে রহস্যময় জগতটা আমি কল্পনা করতাম, আজ সেটাই আমাদের সামনে বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি শেষ করেন, “আমরা এখন এমন একটি যুগে আছি, যেখানে তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয়। আমাদের কল্পনার সীমা শুধু chalkboard-এর চারপাশে সীমাবদ্ধ নয়। এটি আমাদের সীমানাকে অতিক্রম করে, আমাদের বিশাল পৃথিবীর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই স্মার্ট-বোর্ড কেবল একটি সরঞ্জাম নয়, বরং আমাদের কল্পনার একটি সেতু যা বাস্তবতার সঙ্গে আমাদের সংযোগ ঘটায়।”
তার এই অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল এবং আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। তারা বুঝতে পারে, তাদের শিক্ষকের ছোটবেলার স্বপ্নটি আজ তাদের শিক্ষার মাধ্যম হয়ে উঠেছে, যা তাদেরও নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে পারে।