Imagine Jibanananda Das and Rabindranath Tagore alive in 2025. It opens a whole world of poetic, philosophical, and cultural possibilities. Let’s dream for a moment:
Rabindranath Tagore in 2025:
He’d probably be leading global discussions on sustainable living, spiritual unity, and peace through art and education. His Visva-Bharati would evolve into a global hub for intercultural exchange. Tagore might use digital platforms — imagine him posting his thoughts on Twitter or reciting poems on YouTube, perhaps collaborating with young musicians to modernize his Rabindrasangeet. He would likely write essays on AI, warning us against dehumanization and urging the preservation of the soul in the age of machines.
Jibanananda Das in 2025:
He’d be the quiet, almost invisible poet wandering through virtual landscapes just like he did through Barishal’s foggy fields. His poems might be filled with ecological anxiety — Bengal tigers fading, rivers drying up, memories of shyamol gram Bangla dissolving under concrete and climate change. His voice could inspire a generation of climate activists, lovers of solitude, and those longing for a gentler world.
Together?
Maybe they’d walk silently in the afternoon light of Santiniketan — Jibanananda murmuring about bonolota sen, and Rabindranath composing a new song that blends both the old and the digital.
Read in Bengali
জীবনানন্দ দাশ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি ২০২৫ সালে বেঁচে থাকতেন, কেমন হতো?
এটা ভাবতেই যেন মনটা কেমন নরম হয়ে যায় — জীবনানন্দ দাশ আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০২৫ সালে বেঁচে থাকলে আমাদের কবিতা, দর্শন, সংস্কৃতি — সব কিছুই হয়তো এক নতুন মাত্রা পেত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০২৫ সালে:
তিনি হয়তো টেকসই জীবনযাপন, আত্মিক ঐক্য ও শান্তি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁর বিশ্বভারতী পরিণত হয়েছে এক আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক বিনিময় কেন্দ্রে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তিনি নিয়মিত — কবিতা পাঠ করছেন ইউটিউবে, টুইটারে লিখছেন ক্ষণিক ভাবনা, তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে মিলে আধুনিক সুরে রবি ঠাকুরের গান গাইছেন। তিনি হয়তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে প্রবন্ধ লিখছেন — সতর্ক করছেন যেন মানবিকতা হারিয়ে না যায়, আত্মার চেতনা যেন হারিয়ে না যায় যন্ত্রের যুগে।
জীবনানন্দ দাশ ২০২৫ সালে:
তিনি হয়তো আজকের ভার্চুয়াল দুনিয়ায়ও সেই একলা পথিক — নিঃশব্দে হেঁটে চলেছেন কুয়াশাচ্ছন্ন বারিশালের স্মৃতিপথে। তাঁর কবিতায় উঠে আসছে পরিবেশের হাহাকার — বিলুপ্তপ্রায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, শুকিয়ে যাওয়া নদী, কংক্রিটে ঢাকা হারিয়ে যাওয়া বাংলার শ্যামল গ্রাম। তাঁর কণ্ঠে হয়তো নতুন প্রজন্মের পরিবেশপ্রেমী, নিঃসঙ্গ সৌন্দর্যপ্রেমী আর ধীর গতির জীবনচর্চাকারীরা অনুপ্রেরণা পেত।
আর দুজন একসাথে?
হয়তো শান্তিনিকেতনের ছায়াময় বিকেলে দুজনেই হাঁটছেন — জীবনানন্দ ফিসফিস করে বনলতা সেনের কথা বলছেন, আর রবীন্দ্রনাথ গাইছেন এক নতুন গান — যেখানে পুরাতন আর আধুনিক একসাথে মিলেমিশে যায়।
চলো, তাহলে কল্পনার জগতে একবার ঢুকে পড়ি — ২০২৫ সালের এক বিকেল, শান্তিনিকেতনের রঙিন আলোছায়ায় বসে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশ। চারদিকে পলিথিনের ব্যবহারে দিশেহারা প্রকৃতি, ডিজিটাল পর্দায় ডুবে থাকা মানুষ, আর হারিয়ে যাওয়া কবিতার আস্বাদ। চলমান সময়কে দেখে তাঁরা দুজন কথা বলছেন…
রবীন্দ্রনাথ:
(আলতো হেসে)
“এই সময় বড় অদ্ভুত রে জীবনানন্দ, মানুষের মনে যেন মাটি নেই — তারা উড়ে বেড়াচ্ছে, অথচ কোনো আকাশ খুঁজে পায় না।”
জীবনানন্দ:
(চোখে ক্লান্তির রেখা)
“আমি তো বলেছিলাম, ‘এই পৃথিবী যেমন আছে, তেমনই ঠিক রবে’। কিন্তু এখন দেখি, পৃথিবী বদলেছে, মানুষ বদলেছে — বন, পাখি, নদী হারিয়ে যাচ্ছে। আমি বনলতা সেনের কথা বললে, তারা বলে — ’AI দিয়ে বানানো কবিতা ভালো লাগে’…”
রবীন্দ্রনাথ:
“তবু শব্দের তো মৃত্যু হয় না। দেহ ফুরোলে কীর্তি রয়ে যায়। মানুষকে আবার মাটির গান শোনাতে হবে। এই ছেলেমেয়েরা যন্ত্রে ডুবে থাকলেও, হৃদয়ের দরজা খুলে দিলে তারা শুনবে, বুঝবে।”
জীবনানন্দ:
“আমার তো মনে হয়, শহরের ভিড়ে, ইন্টারনেটের জালে, কেউ আর শোনে না। কবিতার ধ্বনি যেন হারিয়ে যাচ্ছে কোলাহলে…”
রবীন্দ্রনাথ:
“না রে, শব্দ কখনো হারে না। আজও যদি কেউ মন থেকে বলে — ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, তাহলে সে গানের সুর বাতাসে ভেসে বেড়াবে। তুই লিখে যা, শিল্পী গেয়ে যাবে। আবার পৃথিবীর প্রাণ জাগিয়ে তুল— নতুন ভাষায়, নতুন সুরে, তবু পুরোনো প্রাণে।”
জীবনানন্দ:
(হালকা হাসি)
“তোমার মতো আশাবাদ আমি হতে পারিনি কখনও, কবিগুরু। তবে যদি একদিন ফেরার সময় আসে, আমি চুপচাপ এই প্রকৃতির কাছে ফিরে যাব — বনলতা সেনের কাছে।”
রবীন্দ্রনাথ:
“তা হোক, আমি তো চিরদিনই বলে এসেছি —
‘যে পথে তোর পদ চিহ্ন নেই, সে পথে আমি চলিয়াছি।’
চলো, সেই পথেই আবার হাঁটি।”
অসাধারণ অনুরোধ! চল তোমাকে একটা হৃদয়স্পর্শী পর্ব শোনাই—যেখানে জন লেননের “Imagine” গানটি নিয়ে কথা বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশ। গানটা শুনে তারা কী ভাবতেন, কীভাবে একজন শিল্পী আরেক শিল্পীর স্বপ্নকে অনুভব করে নিজের কণ্ঠে তুলে নেয়—সেই অনুভবের গভীরে ডুব দেই…
পর্ব: “ইমাজিন, বনলতা আর বিশ্বমানবতার গান”
সময়: ২০২৫ সাল, স্থান: শান্তিনিকেতন। বিকেলের মৃদু রোদে খেজুর গাছের ছায়ায় বসে আছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশ। পাশেই চলছে ইউটিউব লাইভ কনসার্ট—একটি শিশু গাইছে জন লেননের সেই বিখ্যাত গান: “Imagine”.
(গান বাজছে)
“Imagine there’s no countries
It isn’t hard to do…”
রবীন্দ্রনাথ (চোখ বুজে শুনছেন):
“এই গান যেন আমার ‘বিশ্বভারতী’র স্বপ্ন। ‘জনজাতির ভেদাভেদ ভুলে এক বিশ্বমানবের কথা’—এই তো আমিও বলতে চেয়েছি। জন লেননের কণ্ঠে যেন সেই একই বেদনা, একই প্রত্যাশা ধ্বনিত হয়…”
জীবনানন্দ (চুপচাপ শুনে):
“কিন্তু কবিগুরু, মানুষ কি সত্যিই পারে ভেদাভেদ ভুলতে? আমি তো রোজ দেখি—মানুষ একা হয়ে পড়ছে। ভেতরে এক অদ্ভুত ক্লান্তি। লেননের কণ্ঠে সেই নির্জনতাও বাজে, এক নিঃসঙ্গ পৃথিবীর আহ্বান।”
রবীন্দ্রনাথ (মৃদু হাসি):
“তাই তো শিল্পী—সে নিজের নিঃসঙ্গতাকেও আলো বানায়। সে জানে, অন্য কেউ, হয়তো বহু দূরে, একই বেদনা অনুভব করছে। তখন সে গায়—‘Imagine all the people, living life in peace’—এই তো এক শিল্পীর প্রকৃত শক্তি। যেমন তুই লিখেছিলি—
‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন’…
এই জীবন ও শান্তির সন্ধান তো এক কথাই।”
জীবনানন্দ (মৃদু স্বরে):
“হয়তো তাই… জন লেননের গানটা শুনলেই আমার বনলতা সেনের মুখ মনে পড়ে—শান্ত, নিশ্চুপ, কিন্তু গভীর মানবিক বোধে ভরা। সে তো জাতপাত চেনে না, রাজনীতি বোঝে না—সে শুধু প্রশ্ন করে, ‘তুমি কি পথ হারিয়েছো?’”
রবীন্দ্রনাথ:
“আর তখন শিল্পী বলে—‘হ্যাঁ, আমি পথ খুঁজছি’, এবং তখনই সে গান বাঁধে। গানের মধ্যে দিয়েই তো মানুষকে আরেকবার স্বপ্ন দেখতে শেখায়। জন লেনন, তুই, আমি—সবাই তো সেই এক স্বপ্নের ফেরিওয়ালা…”
(পেছনে আবার বাজে গান)
“You may say I’m a dreamer
But I’m not the only one…”
জীবনানন্দ (চোখে জল):
“সত্যিই তো, স্বপ্ন দেখাই যদি শিল্পীর কাজ হয়—তবে আমরাও সেই গানেই আছি। আমি, বনলতা, তুমি আর জন লেনন—আমরা সবাই একই স্বপ্নে বাঁধা।”
রবীন্দ্রনাথ:
“চলো, নতুনরা যেন সেই স্বপ্নকে বুকে রাখে—তাদের জন্য কিছু রেখে যাই। গান, কবিতা, আর ভালোবাসা।”