ঢেঁকি আর ভীমের গল্প: স্বর্গে চাল সংকট
একদিন ঢেঁকি স্বর্গে গিয়ে দেখে, ভীমের রান্নাঘরে চালের ঘাটতি। স্বর্গে গেলেও ঢেঁকির কাজ থেমে থাকে না—সে তো ধান ভানে আর ধান থেকে চাল তৈরি করে। ঢেঁকি তাই দেরি না করে ভীমের রান্নাঘরের দিকে রওনা হলো, কারণ সে জানে ভীমের রান্নার জন্য চাল খুব জরুরি।
ঢেঁকি যখন ভীমের সাথে দেখা করে, ভীম তখন বেশ চিন্তিত। ঢেঁকি মুচকি হেসে বলল, “ভীম, চিন্তা করো না। স্বর্গে এসেছি বলে আমার কাজ তো আর থেমে যায় না। চলো, তোমার জন্য আমি চাল তৈরি করে দিচ্ছি।”
ভীম অবাক হয়ে বলল, “তুমি স্বর্গে এসেও কাজ করছো! বিশ্রাম নাও না একটু!”
ঢেঁকি হেসে বলল, “শুনেছো না, ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে। কাজ মানে শুধু শারীরিক পরিশ্রম নয়, এটা ভালোবাসার প্রকাশ। যখন তোমার প্রয়োজন হয়, তখন আমি থামি না।”
ভীম বলল, “তাহলে তো তোমার কাজের জন্য আমরা খুবই ভাগ্যবান! চাল নেই, আর তুমি চাল তৈরি করছো—এটা তো বিশাল।”
ঢেঁকি চাল ভানে আর বলল, “কাজ করতে গেলে ভালো ফল পাওয়া যায়, শুধু বিশ্রাম নিলে চলবে না। আমাদের সবারই পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু সেটা আনন্দের সাথে করা উচিত।”
এই কথা শুনে ভীমের মনে হাসি ফুটল। সে বুঝল, কাজকে আনন্দের সঙ্গে করলে সেটাই প্রকৃত পরিপূর্ণতা। ঢেঁকির চাল পেয়ে সে রান্না করে সবাইকে খাওয়াল, আর বুঝল কাজ ও পরিশ্রমের মূল্য।
নৈতিক শিক্ষা: পরিশ্রমই আনন্দ ও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। আর ভালোবাসা দিয়ে কাজ করলে, সেই কাজ আরও মধুর হয়।