১৯৯৫-২০২৫
সে পরত কৃষ্ণচূড়ার বান, তার চুলে আগুন,
গ্রীষ্মের ফুল, তুলনাহীন, সামান্য বাতাসে নড়ে ।
চোখ ধাঁধানো পশ্চিমে সুর্যাস্তের নরম আলোতে
সে হেঁটেছিল ঢাকায় রাস্তায়, তারপর নিউইয়র্ক ।
পাপড়িগুলি ফিসফিস করে বলে ১৯৯৫ এর কথা,
প্রথম স্পর্শ, আমের গন্ধ, বর্ষার গান, কবিতার পাতা;
কিন্তু সময়, চোর, নীরব হাতে, ট্রাজেডি ভালোবেসে
ছিনিয়ে নিল সব কিছু যা সে বুঝতেও পারেনি।
এখন সেই বানটা নেই, আর আগুনের জ্বালা নেই,
অন্য এক আয়না যা কোমল, মধুর এক আভাস,
এত বছর মুখ তার সর্বস্তরে হরপ্পার আল্পনা, ক্লান্তিহীন হাতে মানচিত্র আঁকে রাস্তায় ।
সে এক একটি পড়ে থাকা ফুল, নিজের পছন্দে তার রঙ স্নানঘরে নিঃশব্দ স্মৃতির মাঝে ঢাকা অভিমান।
কৃষ্ণচূড়া, একসময় লাল আগুনে ভরা, এখন নীরব, স্মৃতির মাঝে ঢাকা। একটি সময়ের প্রতীক, সময়ের নির্মম শিল্প, দেখি দুই পৃথিবীতে, এক সত্য এখনও দাঁড়িয়ে,
সে আবার উঠে দাঁড়াবে—সৌন্দর্য হয়ে, আগামী সূর্যের আগুনে , কারণ আজ বর্তমান।


